ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জাবের

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জাবের জন্মেছিলেন ১৯৯৫ সালের ২২ জানুয়ারী বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত সুফিবাদী পরিবারে।পিতা আবদুর রহমান, মাতা বিলকিছ আকতার।জনক-জননীর অত্যন্ত আদরের ও পরিবারের ১ম সন্তান তিনি।তাঁর পিতা আউলাদে রাসুল হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.)’র একনিষ্ট মুরিদ। সেই হিসেবে সুফিবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোটবেলা হতে ধর্মীয় অনুরাগ নিয়ে বেড়ে উঠেন।

শিক্ষাজীবন:
মায়ের হাতেই গ্রামীণ পরিবেশে শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হলেও দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন তিনি।
শিক্ষাজীবনের সূচনায় স্থানীয় আকুবদণ্ডী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে ধর্মীয় অনুরাগে স্থানীয় হাওলা কুতুবিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় ভর্তি হন। তাঁর জীবন যেন সাফল্যের সোপানে পা ফেলে। স্কুলজীবনে পড়ালেখার প্রতি তাঁর চরম উদাসীনতা থাকলেও মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর পরম মমতায় আপন করে নেন। প্রতিটি শ্রেণীতে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। নবমে ২য় হলেও চরম সাধনায় দশম শ্রেণীতে আবারো ১ম স্থান অর্জন করেন। মাদ্রাসার বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়ও তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতেন। আজান, নাত, উপস্থিত বক্তৃতা, ক্লাস ক্যাপ্টেন ও মেধা তালিকায় অবস্থানের জন্য তাঁর ৪/৫ টি পুরস্কার যেন বরাদ্দ থাকত সর্বদা। ২০১৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। ইতি ঘটে গ্রামীণ পড়াশোনার।

বাবা-ছেলের উভয়ের স্বপ্নে অপূর্ব মিল থাকায় বেগ পেতে হয়নি সিদ্ধান্ত নিতে। উভয়ের স্বপ্ন পূরণে যাত্রা করলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মরকয জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার পাণে। সুন্নিয়া মাদরাসা হতে ২০১৪ সালে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বরাবরের মতো জিপিএ ৫:০০ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন।

উচ্চশিক্ষা:
সুন্নিয়া মাদ্রাসা হতে ২০১৭ সালে ফাজিল ও ২০১৯ সালে কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
আলিম ও ফাজিলের ফলাফলে তিনি জেলাবৃত্তির জন্য মনোনীত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তৎকালীন B-2 তে ৭ম স্থান অর্জন করেন। ২০১৮ সালে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ হতে বিএ অনার্স (১ম বিভাগ) ও ২০১৯ সালে এম এ (২য় বিভাগ) সম্পন্ন করেন।
সাহিত্যের প্রতি তাঁর ঝোঁক থাকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ,কবিতাও রচনা করেন তিনি।

ছাত্র হিসেবে প্রথম সারির ছাত্র ও শিক্ষকদের অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহাস্পদ ছাত্র। তিনি জীবনের শুরুতে যেমন ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলেন, সর্বোচ্চ শ্রেণী কামিল হাদীস বিভাগেও ক্লাস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করেন।

সাংগঠনিক জীবন:
তিনি ২০০৯/২০১০ এর দিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাথে পরিচিত হন। সখ্যতা জন্মে ২০১২ এর দিকে। গ্রামে ওয়ার্ডের সদস্য, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন, অত:পর যুল ইয়ামিন এর হাত ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য নির্বাচিত হন। সদস্য হতে ক্রমান্বয়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক, দাওয়া বিষয়ক, সাংগঠনিক ও সর্বশেষ সভাপতি নির্বাচিত হন।

অত:পর কেন্দ্রীয় বিগত পরিষদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে সর্বশেষ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা (২০২২-২৩) পরিষদের তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যেমন বোয়ালখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনে (চবি),বোয়ালখালী ছাত্র ফোরাম(জামেয়া), বেসরকারি বৃহত্তম বৃত্তি সংসদ শহীদ হালিম -লিয়াকত স্মৃতি বৃত্তি সংসদ, সেনানী ব্লাড ডোনার ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ইত্যাদি সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply