বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

এতদ্বারা, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ঈসায়ী,
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার
কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০১৯-২০২০ সেশনের
১ম সাধারণ সভার ১নং সিদ্ধান্তের আলোকে
সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সর্বশেষ সংশোধনীসহ
১১শ সংস্করণ প্রকাশের প্রস্তাবনা
জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের
মাননীয় চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মহোদয়
অনুমোদন প্রদান করেন।

এতদভিত্তিতে এ সংস্করণ প্রকাশ করার
উদ্যোগ গৃহীত হলো।


ভূমিকা

পরম করুণাময় আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিজগতে মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করেছেন। তাদের পথপ্রদর্শনের জন্য মহান প্রতিপালক পাঠিয়েছেন অসাধারণ নির্ভুল জ্ঞানসম্পন্ন, নিষ্কলুষ নবী ও রাসূল আলাইহিমুস্ সালামদের; অবতীর্ণ করেছেন ইহকালীন ও পরকালীন যাবতীয় বিষয়ের পূর্ণ বিবরণসম্বলিত আসমানি কিতাব ও ঐশী বিধানাবলী। তৎসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেরিত নবী ও রাসূল আলাইহিমুস্ সালাম, এবং নাযিলকৃত কিতাবাদি ও বিধানমূহের অনুকরণ করতে। আর ঘোষণা করেছেন তাঁদের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা, এবং তাঁদের অনুসরণেই নিহিত রয়েছে উভয় জগতের সাফল্য ও চিরন্তন শান্তি। পক্ষান্তরে, তাঁদের প্রতি অবাধ্যতা, অবজ্ঞাই হবে পার্থিব জীবনের চরম লাঞ্ছনা, এবং পরকালে ভয়াবহ শাস্তিভোগের কারণ।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, সাম্যের প্রতীক, বিশ্ব মানবতার পাথেয়, এবং সত্যিকার অর্থে স্রষ্টার নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণের দলীল। সাইয়্যেদুল মুরসালীন, সৃষ্টিকুল শ্রেষ্ঠ হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ কোরআন মাজিদ হলো আল্লাহর পাক-কালাম; বিশ্ববাসীর সকল সমস্যার চিরস্থায়ী নিশ্চিত ও নিখুঁত সমাধান। আর সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের মনোনীত পরিপূর্ণ ধর্ম হল ইসলাম। ইসলাম জগতের বুকে বিশ্বভ্রাতৃত্বের উদার ভাবধারা ও শিক্ষাকে করেছে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলামী দুনিয়া পারস্পরিক বিরোধ ও বিবাদকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। কারণ, এতে ইসলামের কৃত্রিম মুখোশে বিভিন্ন ভ্রান্তধর্মীয় মতবাদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তাই তাদের সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বযুগে মাযহাবের ইমামগণ, আউলিয়ায়ে কেরাম, মুফাস্সিরীন, মুহাদ্দেসীন, ও প্রকৃত ওলামায়ে কেরাম তাঁদের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, ক্ষুরধার লেখনী, এবং সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। যাঁরা পরবর্তীদের মহান দিশারী; তাঁরা খোদাদ্রোহী ও কৃত্রিম মুসলমান- উভয় দলেরই ভ্রান্তি থেকে জগতকে রক্ষা করে এসেছেন।
উক্ত ভ্রান্ত-মতবাদীদের সার্বিক কিংবা আংশিক অনুকরণে এদেশেও ইসলামের নামে বহুদল সরলপ্রাণ জনসাধারণকে, বিশেষত শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। যার ফলস্বরূপ জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার ছাত্রসমাজ বিভ্রান্তি ও অনৈক্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জন্ম নিচ্ছে তাদের মাঝে হিংসাত্মক ও ধ্বংস সাধনের ঘৃণ্য মনোবৃত্তি। পবিত্র শিক্ষাঙ্গন চরম অশান্ত; কখনো-কখনো যেন রণাঙ্গন। অথচ তাদের কোমল মন সত্যের অনুসন্ধানে আত্মহারা, সত্যের সাক্ষাত লাভের জন্য দারুণ উৎসুক- এটাইতো সত্য কথা।
মানব সমাজকে ইসলামই তার সুন্দর আদর্শের ছাঁচে ঢেলে আশরাফুল মাখলূক্বাতের রূপদান করেছে। খোদাপ্রাপ্তি প্রতিটি প্রকৃত মুসলিমের চরম লক্ষ্য। আর সে চরম লক্ষ্য অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রেম। এতদভিত্তিতে সার্থকতার পথে পরিচালিত করাই ইসলামের লক্ষ্য। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ইসলামের এ আদর্শে আদর্শবান হয়ে যে মুসলিম জাতি এককালে সত্য ও ন্যায়ের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ছিল, ছিল শিক্ষা, সভ্যতা ও বিশ্বমানবতার অগ্রদূত, ছিল বিশ্বব্যাপী ছেয়ে ফেলা বাতিলের মহাআতঙ্ক, আজ সে মুসলিম জাতি ইসলামের শত্রুদেরই ক্রীড়নক। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে খোদা তা’আলা ও তাঁর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত ভালবাসাভিত্তিক আকিদা ও আদর্শ থেকে মুসলিম সমাজ আজ বিচ্যুত। আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি যে প্রগাঢ় বিশ্বাসের কারণে আল্লাহর রহমত লাভ করে মুসলিম জাতি বিশ্বে প্রাধান্যের শীর্ষে উপনীত হয়েছে, তারা সে আকিদা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হোক- এটাই মুসলিম বিদ্বেষীদের একমাত্র কামনা। তাই একদিকে এসব শত্রু সভ্যতার নামে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের প্রতি মুসলিম সমাজকে ধাবিত করার জন্য তৎপর, অন্যদিকে এদের বিজয় লাভের একমাত্র উৎস ঈমান-আকিদা বিধ্বংসী মতবাদ সৃষ্টি করে সেগুলো প্রচারের জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করতেও তারা কখনো ত্রুটি করেনি। ইসলামের সরল ও সঠিক রূপরেখা ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত’ এর মতাদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন ধরণের বাতিল মতবাদ ওই সব ইসলাম বিদ্বেষীদের কুচিন্তারই ফল, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশেও ধর্মের নামে এসব বাতিল মতবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। বিশেষত ছাত্রসমাজই আজ এসব অশুভ চক্রান্তের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত।
এমতাবস্থায় এসব ভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ প্রদত্ত, এবং রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত একমাত্র সঠিক পথ ও মত ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত-এর মতাদর্শ, তথা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শকে প্রতিফলিত করাই যে সকল সফলতার চাবিকাঠি- একথা মুসলিম সমাজকে, বিশেষত ছাত্রসমাজকে যথাযথভাবে অনুধাবন করানো অপরিহার্য। অবশ্য সমসাময়িক ভ্রান্তিগুলোকে চিহ্নিত, এবং এর পথরোধ করে সত্য ও সঠিক মতাদর্শের প্রতিফলন ঘটানোর জন্য চাই সংঘবদ্ধতা ও মজবুত সংগঠন। এগিয়ে আসতে হবে ওই সংগঠনের মাধ্যমে সকলকে; বিশেষতন ঈমান, আকিদা ও রাসূলপ্রেমে উদ্দীপ্ত সত্যসন্ধানী, জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীদেরকে।
এ মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত’র মতাদর্শভিত্তিক একক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ১৯৮০ সালের ২১শে জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জনের মহান লক্ষ্যস্থলের দিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনাকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে এ গঠনতন্ত্র প্রণীত ও প্রবর্তিত হলো।

প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর একাত্তরের পরাজিত ঘাতকচক্র তাদের ধার্মিকতার মুখোশের আড়ালে নবীদ্রোহী তৎপরতার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে অগ্রসর হয়। এ লক্ষ্যে সেই নবীদ্রোহী চক্র দেশের আনাচে-কানাচে নানা উপায়ে সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাঝে তাফসিরের নামে পবিত্র কোরআন-এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রিয় হাবীবে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শানে অবমাননা শুরু করে। তখনো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত-এর শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখ সংঘবদ্ধ ছিলেন না। ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রামের ছোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী এম.এ মতিনসহ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টায়, এবং মোহাদ্দিস আল্লামা শাহ আলাউদ্দিন (রহ.)-এর অনুপ্রেরণায় ‘জমিয়তে তোলাবায়ে আহলে সুন্নাত’ নামে একটি ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। উদ্যোক্তা এম.এ.মতিন-এর প্রস্তাবে, এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুবিধার্থে তাঁর সহপাঠি মুহাম্মদ ইব্রাহিম নামক এক ছাত্রকে আহবায়ক, এবং এম.এ. মতিনকে যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়।

১৯৭৮ সালের ১লা মহররম মোহাদ্দিস আল্লামা শাহ আলাউদ্দিন (রহ.) ছোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চট্টগ্রামের তৎকালীন প্রথিতযশা শিল্পপতি আলহাজ্ব ইসলাম মিয়া টি.কে সাহেবকে উন্মুক্ত মঞ্চে ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অবহিত করেন। উক্ত সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে তাঁর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ইসলাম মিয়া টি.কে সাহেব বিষয়টি জেনে আনন্দিত হন, এবং সংগঠনের কার্যক্রম বেগবান করতে অবারিত হস্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে মাদরাসার অধ্যক্ষ পীরে তরিকত হজরত আল্লামা সৈয়দ শামসুল হুদা (রহ.)ও ঐকমত্য প্রকাশ করেন, এবং পরবর্তীতে অধ্যক্ষ সৈয়দ শামসুল হুদা (রহ.) সুন্নীয়তের সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত সুদৃঢ় করতে অনন্য ভূমিকা ও অবদান রাখেন। সেসময় মাদরাসার আবাসিক হলের নিচতলায় ওই সংগঠনের উদ্যোক্তা এম.এ.মতিনের ৯নং কক্ষটি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেয়। অতঃপর এ কক্ষে ধীরে-ধীরে সুন্নি ছাত্ররা বিভিন্ন সভায় যোগ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা সংগঠনটি এই মাদরাসার গণ্ডিবদ্ধ না রেখে চট্টগ্রামের অন্যান্য সুন্নী মাদরাসায়ও সাংগঠনিক কাঠামো প্রসারিত করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এম.এ.মতিন ও স.উ.ম. আবদুস সামাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ শামসুল হুদা (রহ.) ও মোহাদ্দিস আল্লামা শাহ আলাউদ্দিন (রহ.)’র সহায়তায় ও পরামর্শে সিনিয়র ওলামা-মাশায়েখের নিকট জাতীয় পর্যায়ে ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন মাদ্রাসায় দাওয়াত নিয়ে গেলে অনেকেই ঐকমত্য পোষণ করলেও কেউ-কেউ সংগঠন করায় দ্বিমত পোষণ করেন। এম.এ.মতিন, স.উ.ম. আবদুস সামাদ ও মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখের প্রচেষ্টায়, এবং মোহাদ্দিস আল্লামা শাহ আলাউদ্দিন (রহ.)-এর সহায়তায় শুরুতে শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম দফায়-দফায় বৈঠক করেন।

জাতীয় পর্যায়ে ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড ময়দানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দেবপাহাড় এলাকায় অবস্থিত আহলা দরবার শরীফের তৎকালীন সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত হজরত আল্লামা সৈয়দ সেহাব উদ্দীন খালেদ আল-কাদেরী আল-চিশতি (রহ.)-এর খানকায়ে নূরীয়াতে সম্মিলিতভাবে সর্বশেষ ৪র্থ বৈঠকে মিলিত হন- ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী (রহ.), পীরে তরিকত হজরত আল্লামা সৈয়দ সেহাব উদ্দীন খালেদ আল কাদেরী আল-চিশতি (রহ.), আল্লামা অধ্যক্ষ জাফর আহমদ ছিদ্দিকী (রহ.), শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী (রহ.) প্রমুখ প্রথিতযশা সুন্নি ওলামায়ে কেরাম। সেই বৈঠকে নামকরণের প্রসঙ্গে তাঁদের দু-একজন পূর্বের নাম বহাল রাখতে মতপ্রকাশ করলেও অধিকাংশ মত দেন যে, যেহেতু এই সংগঠনটি শুধু মাদ্রাসার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে, সেহেতু বাংলায় নাম রাখা উচিত। তখন মরহুম মুহাম্মদ আকতার হোসেন নান্টু ‘ছাত্রসেনা’ নামটি প্রস্তাব করে এর স্বপক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। আর উপস্থিত সবাই তাঁর প্রস্তাবকে সমর্থন করেন, এবং ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা নামের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারপর কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপিত হলে বিভিন্নজন বিভিন্ন জনের নাম প্রস্তাব করেন। অতঃপর উক্ত বৈঠকে বিভিন্নদিক আলোচনা ও পরামর্শের পর এই মর্মে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেন যে, এমন একজন ছাত্রকে প্রধান করা প্রয়োজন, যিনি মাদ্রাসা ও কলেজ উভয় দিক থেকে শিক্ষিত ও মেধাবী হিসেবে সর্বজন গ্রহণীয় হবেন। এই বিবেচনায় এম.এ মতিন ও স.উ.ম আবদুস সামাদ এশিয়াখ্যাত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ও চট্টগ্রাম সরকারি মহসিন কলেজের তৎকালীন মেধাবী ছাত্র, এবং ঐতিহ্যবাহী ছোবহানীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার তৎকালীন শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান-এর নাম প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে প্রস্তাব করেন। শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (রহ.) প্রস্তাবটি সমর্থন করেন, এবং উপস্থিত ওলামা-মাশায়েখও ঐকমত্য প্রকাশ করেন। সুতরাং, ১৯৮০ সালের ২১ জানুয়ারি মাওলানা এম.এ.মান্নানকে আহবায়ক, মুহাম্মদ আলী হাসিনকে যুগ্ম-আহবায়ক, এম.এ.মতিন, মুহাম্মদ আকতার হোসেন নান্টু, সৈয়দ মুহাম্মদ অছিউর রহমান, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, নিজাম উদ্দিন মাহমুদ, স.উ.ম.আবদুস সামাদ, হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুল হাই, মুহাম্মদ আব্দুল মোতালেব ও মুহাম্মদ নাজমুল হাসানকে সদস্য করে ১১ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিয়ে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’ নামে জাতীয়ভাবে সুন্নীয়তের সর্বপ্রথম সাংগঠনিক যাত্রার সূচনা করা হয়। পরবর্তীতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় মাওলানা এম.এ মান্নান সভাপতি ও সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
(সংযোজন-২০১৯)

ধারা- ১: সংগঠনের নাম

এ সংগঠনের নাম ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’ সংক্ষেপে ‘বা.ই.ছা.সে’।
ইংরেজীতে ‘Bangladesh Islami Chattrasena’ ‘(BICS)’.

ধারা- ২: মূলনীতিসমূহ

(১) ঈমান (২) আকিদা (৩) ঐক্য (৪) শৃঙ্খলা (৫) সু-শিক্ষা (৬) ত্যাগ ও (৭) সেবা ।
ব্যাখ্যা :
(১) ও (২) : ইসলামের পঞ্চ বুনিয়াদের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বুনিয়াদ হচ্ছে ঈমান। ইসলামের যে কোন বিধি-বিধানের অনুসরণ গ্রহণীয় হওয়ার জন্য ঈমানই পূর্বশর্ত। আল্লাহ তা’আলা, তাঁর ফেরেশতাগণ, রাসূলগণ (আলাইহিমুস সালাম) তাঁদের উপর অবতীর্ণ সমস্ত কিতাব, পরকাল, তক্বদীর, মৃত্যুর পর পরকালীন জীবনের উপর নিষ্ঠার সাথে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস রাখাই হচ্ছে ঈমানের মূল। অন্তরের সেই দৃঢ় বিশ্বাসের কথা মুখে ঘোষণা করা এবং ইসলামের সর্বপ্রকার বিধানানুযায়ী আমল করা ঈমানের দাবী ও চিহ্ন। দৃঢ়ভাবে ইয়াকিন বা বিশ্বাস করাই হচ্ছে ‘ইতিক্বাদ’, যার উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা যায়; যেমন আল্লাহ, রাসূল, আসমানী কিতাবসমূহ, ফেরেশতাগণ ইত্যাদি সপ্ত বিষয়ের উপর প্রিয় নবী ও সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে যথাযথ দৃঢ় বিশ্বাস করাই হচ্ছে আকিদার মূলমন্ত্র। বিশুদ্ধ ইতিকাদই ঈমানের মূল। বিশুদ্ধ আকিদা ও ইতিক্বাদের অনুসারী হলো “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত”। হাদীস শরীফের ভবিষ্যদ্বাণীর বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ ইসলামের নামে বহু ভ্রান্ত আকিদার উদ্ভব হয়। আকিদা সম্পর্কীয় গভীর জ্ঞান ও সচেতনতাই ঈমান হেফাজতের জন্য একান্ত আবশ্যক। উল্লেখ্য যে, এজন্যই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনায় আকিদাকে একটি পৃথক মূলনীতি হিসেবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট (৩), (৪), (৫), (৬) ও (৭) নং-এ উল্লিখিত বিষয়গুলোও সাংগঠনিক অগ্রযাত্রার জন্য অপরিহার্য বিধায় সেগুলোকেও মূলনতিগুলোর অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

ধারা- ৩:  আদর্শ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ-নির্দেশের সামগ্রিক ও নিঃশর্ত অনুসরণ।

ধারা- ৪:  উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

আল্লাহ্ প্রদত্ত ও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত ও বিধানানুসৃত “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত”-এর আদর্শালোকে মানবজীবনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান আদর্শ প্রতিফলনের মাধ্যমেই আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জন।

উপধারা : ১ (ক)

সংগঠনের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে সম্পর্কিত কোন ধারার উপর কোন প্রকার সংশোধনী প্রস্তাব আনা যাবে না। (সংশোধনী’৮৭)

উপধারা : ১ (খ)

যেহেতু এ ধারাটি আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কিত ধারার সাথে সম্পৃক্ত বিধায় “উপধারা : ১ “(ক)” এ ধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা বাতিলের ঊর্ধ্বে থাকবে।

ধারা- ৫:  কর্মসূচী

(এক) ছাত্রসমাজের মধ্যে যথার্থ ইসলামী মূল্যবোধ সৃষ্টি করে তাদেরকে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত” এর আদর্শে অনুপ্রাণিত করা এবং আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনের মাধ্যমে সুসংগঠিত করা।
(দুই) সুশিক্ষা অর্জন এবং আদর্শ চরিত্রে চরিত্রবান হবার কর্তব্যবোধ জাগ্রত করা।
(তিন) জ্ঞানের প্রসারকল্পে বিভিন্ন প্রকাশনা, পাঠাগার স্থাপন ও সমাজ সেবামূলক কার্যের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(চার) সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং ভ্রান্তি প্রচারের পথরোধের স্বীয় কর্তব্যানুভূতি সৃষ্টি করা।
(পাঁচ) শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং ছাত্রসমস্যা দূরীকরণের ব্যবস্থা করা। (সংশোধনী’ ৮৬)

ধারা- ৬:  কার্যকরী এলাকা

উপধারা : ১

সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে এ সংগঠনের কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত থাকবে।

উপধারা : ২

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য উপায়ে সাংগঠনিক কর্মসূচীতে ব্যাপৃত আনা যেতে পারে।

ধারা- ৭: পতাকা

৩ঃ২ আকারে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার পতাকার এক চতুর্থাংশ “সাদা” হবে লম্বালম্বিভাবে এবং অবশিষ্ট অংশ সমান্তরালভাবে উপরের অংশ ‘কালো’ এবং নিচের অংশ ‘সবুজ’ হবে।

ব্যাখ্যাঃ

সাদা রং-শান্তির প্রতীক;
কালো রং-গিলাফে কা’বার অনুসরণ;
সবুজ রং-বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওজা শরীফের সবুজ গম্বুজ এর অনুসরণ। ৩;২ আকারে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার পতাকার এক চতুর্থাংশ “সাদা” হবে লম্বালম্বিভাবে এবং অবশিষ্ট অংশ সমান্তরালভাবে উপরের অংশ ‘কালো’ এবং নিচের অংশ ‘সবুজ’ হবে।

ধারা- ৮: মনোগ্রাম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা লোগো
অত্র সংগঠনের মনোগ্রাম নবচন্দ্র খচিত। চন্দ্রের গায়ে উপরিভাগে তারকা, নিচের অংশে কোরআন মাজিদের নিম্নলিখিত আয়াতাংশটি উল্লেখ থাকবে।
(জা-আল হাক্ব্ ওয়া যাহাক্বাল বা-ত্বিলু)
এরই নিচের অংশে লেখা থাকবে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’। নক্সা নিম্নরূপ-

ব্যাখ্যা : নবচন্দ্র সংগঠনের আবির্ভাবের প্রকৃতিকে, তারকা ইসলামের পঞ্চভিত্তির প্রতিফলনকে এবং উক্ত আয়াত সংগঠনের ভাবমূর্তির প্রতি নির্দেশ করে।

ধারা- ৯: কেন্দ্রীয় দপ্তর বা কার্যালয়

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার গঠন ও পরিচালনার প্রাথমিক ধ্যান-ধারণা চট্টগ্রাম থেকে উদ্ভুত, চট্টগ্রাম ধর্মপ্রাণ ও বিশেষভাবে ধর্ম প্রভাবিত মুসলিম সমাজের ঘনবসতি হিসেবে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। তবে ঢাকা যেহেতু বাংলাদেশের রাজধানী ও রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র সেহেতু সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। (সংশোধনী’ ৯৪)

ধারা- ১০: কর্মীস্তর

(ক) সমর্থক (খ) অনুগামী (গ) সহগামী (ঘ) সভ্য (সংশোধনী ৮৯)

ব্যাখ্যা :

(ক) সমর্থক : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগ্রহী যে কোন শিক্ষার্থী সমর্থক ফরম পূরণের মাধ্যমে সমর্থক হতে পারবেন। সমর্থকের জন্য নির্ধারিত সিলেবাস অধ্যয়ন করতে হবে। (সংশোধনী ০৯ ও ১০)

(খ) অনুগামী : কোন সমর্থক যদি অনুগামীতে উন্নীত হতে চান তাহলে নিন্মোক্ত শর্তাবলী পালন করা অত্যাবশ্যকঃ

(১) বয়স ১২ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে।
(২) অনুগামীর নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
(৩) অনুগামীর নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে হবে।
(৪) অনুগামী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। (সংশোধনী ০৯ ও ১০)

(গ) সহগামী : কোন অনুগামী যদি সহগামীতে উন্নীত হতে চান তাহলে নিম্নোক্ত শর্তাবলী পালন একান্ত আবশ্যকঃ (সংশোধনী’ ২০১০)

(১) সহগামীর নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। (সংশোধনী-২০১০)
(২) সহগামীর জন্য নির্ধারিত সিলেবাস সম্পন্ন করতে হবে। (সংশোধনী-২০১০)
(৩) কেন্দ্রীয় পরিষদ পরিচালিত সহগামী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। (সংশোধনী-২০০৫)
(৪) প্রত্যেক সহগামীকে নিশ্চয়ই শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে যতœবান হতে হবে।
(৫) সহগামী হবার জন্য অনুগামী হিসেবে কার্যের সময় ন্যূনতম একবছর হতে হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট শাখার মুখ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সাধারণ সম্পাদক) কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।

(ঘ) সভ্যঃ কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক সহগামী পরীক্ষায় উত্তীর্ণের মাধ্যমে সভ্য ফরম পূরণ করতে পারবে এবং সভ্য সিলেবাস সম্পন্ন করে জাতীয় সংগঠন “বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট” এর তত্ত্বাবধায়নে কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত সভ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে হবে। গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সাংগঠনিক যোগ্যতাসমূহ অবশ্যই থাকতে হবে। (সংশোধনী- ২০০৯, ২০১৯)

সভ্যের শর্তাবলীঃ কোন সহগামী যদি সভ্যতে উন্নীত হতে চান তাহলে তাকে নিম্নোক্ত শর্তাবলী পালন একান্ত আবশ্যক। (সংশোধনী’ ২০০৫)

(১) সভ্যের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। (সংযোজন ২০১০)
(২) সভ্যের জন্য নির্ধারিত সিলেবাস সম্পন্ন করতে হবে। (সংযোজন ২০১০)
(৩) কেন্দ্রীয় পরিষদ পরিচালিত সভ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে হবে। (সংশোধনী ২০১০)
(৪) ইসলাম সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যাতে সত্য-মিথ্যা বা ভ্রান্ত মতবাদের পার্থক্য বুঝতে সক্ষম হন।
(৫) নিজের সকল কাজকর্মে, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও একাগ্রতার সাথে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে কেরামের আনুগত্য স্বীকার করতে হবে।
(৬) ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত’ পরিপন্থী সকল রকমের ভ্রান্তিরোধে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
(৭) ছাত্রসংগঠনে জড়িত থাকা অবস্থায় জাতীয় সংগঠন ও তার কোন অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত থাকতে পারবে না। এবং অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। (সংশোধনী’১৫, ১৯)
(৮) ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের দৃষ্টিতে যারা ভ্রান্ত, এ রকম ভ্রান্তমত পোষণকারীদের সাথে সকল প্রকারের সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, ভালবাসা পরিহার করতে হবে।
(৯) সহগামী হবার তিনবছর পর সভ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। (সংশোধনী’১৫, ১৯)

উপধারা : ১

প্রত্যেক সমথর্ক ১০ টাকা, অনুগামী ২০ টাকা, সহগামী ৫০ টাকা, সভ্য ১০০ টাকা হারে প্রতি মাসে ইয়ানত প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। (সংশোধনী-২০০৯)

উপধারা : ২

প্রত্যেক সমর্থককে অনুগামীতে, প্রত্যেক অনুগামীকে সহগামীতে এবং সহগামীকে সভ্য স্তরে উন্নীত হতে হলে কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক আহুত পরীক্ষায় আবেদনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য সহগামী পরীক্ষাতে কেন্দ্রীয় পরিষদের মনোনীত এবং সভ্য পরীক্ষাতে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’-এর মনোনিত পরীক্ষকই পরীক্ষা গ্রহণ করবেন। (সংশোধনী’ ৮৯ ও ২০০৫, ২০০৯, ২০১৯)

উপধারা : ৩

অনুগামী, সহগামী ও সভ্যরা প্রত্যেকে নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার অধিকার রাখবে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরিষদের অধিবেশনে পদত্যাগ পত্রগ্রহণ বা নাকচ করতে পারবে। (সংশোধনী’৯৪ ও ৯৮)

উপধারা : ৪- অনুগামী, সহগামী ও সভ্যদের পদচ্যুতি পদ্ধতি

কোন অনুগামী, সহগামী ও সভ্য ছয় মাসের অধিককাল মাসিক চাঁদা না দিলে অথবা সাংগঠনিক স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বা সংগঠনের কোন স্তরে ন্যূনতম এক বছর জড়িত না থাকলে অথবা মস্তিষ্ক বিকৃত হলে কিংবা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোন কাজে লিপ্ত হলে তার পদ প্রাথমিকভাবে শূন্য বলে গণ্য হবে। (সংশোধনী’ ৯৭)

উপধারা : ৫- অনুগামী, সহগামী ও সভ্যদের পদ পুনর্বহালের পদ্ধতি

কোন বাতিলকৃত বা পদচ্যুত সদস্যকে পুনরায় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট আপিল করতে হবে। কমিটি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লিখিত পরামর্শানুযায়ী এ আপিল গ্রহণ বা নাকচ করার পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী থাকবে।

উপধারা : ৬- মেয়াদ কাল

যে কোন স্তরের দায়িত্ব হতে সর্বশেষ অব্যাহতি লাভের এক বছর পর পর্যন্ত।

উপধারা : ৭

কেন্দ্রীয় পরিষদ ঘোষিত নিয়মেই রশিদ বই সংগ্রহ করতে হবে। দেশব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচী বাস্তবায়নে সব ধরনের লেনদেন কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক সরবরাহকৃত রশিদ মূলে আদায় হবে। (সংশোধনী’ ২০০৫)

ধারা- ১১: সাংগঠনিক কাঠামো

(ক) কেন্দ্রীয় পরিষদ (খ) মহানগর/জেলা/বিশ^বিদ্যালয় পরিষদ (গ) উপজেলা/থানা/অনুষদ/হল পরিষদ (ঘ) ইউনিয়ন পরিষদ (ঙ) ওয়ার্ড/ইউনিট (সংশোধনী’ ৯৪, ৯৮, ২০১০, ২০১৯)

উপধারা : ২- কেন্দ্রীয় পরিষদ গঠন ও দায়িত্বশীলদের যোগ্যতা

জাতীয় সম্মেলনে প্রতিনিধিগণের মধ্য হতে একটি কেন্দ্রীয় পরিষদ নির্বাচিত হবে। এর আয়ুষ্কাল হবে দুই জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের অর্ন্তবর্তীকালীন সময়। এ পরিষদ যাবতীয় কার্যাবলীর জন্য জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিকট দায়ী থাকবে। কেন্দ্রীয় পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি, সহ-সভাপতিবৃন্দ, সম্পাদকম-লী এবং সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হবে ১০১ জন।

* কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলা (প্রশাসনিক) থেকে ২০%-৩০% সদস্য কেন্দ্রীয় কার্য-নির্বাহী পরিষদে থাকবেন। (সংশোধনী-২০১০,১৯)

ব্যাখ্যাঃ প্রতি দুই মাস অন্তর ন্যূনতম একবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা হবে। সাধারণভাবে ১৫ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সাথে পরামর্শ করে এ সভা আহবান করবেন। জরুরী ভিত্তিতে ১ সপ্তাহের বিজ্ঞপ্তিতে জরুরী সভা আহ্বান করা যাবে এবং সেক্ষেত্রে জাতীয় পত্রিকা/অনলাইন অফিসিয়াল পেইজ ও ওয়েব সাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিই মূল বিজ্ঞপ্তি বলে গণ্য হবে। (সংশোধনী’ ৯৪, ৯৭, ৯৮ ও ২০১৯)

উপধারা : ২ (১)- কেন্দ্রীয় পরিষদের দায়িত্বশীলদের যোগ্যতা

ক. সম্পাদকদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সভ্য এবং সদস্যদের ক্ষেত্রে সহগামী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
খ. জেলা/সমমানের শাখায় কমপক্ষে তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
গ. বয়সসীমা অনুর্ধ্ব ৩০ বছর এবং ছাত্রত্ব থাকতে হবে।

উপধারা : ২ (১)- ২০২২ সালের মধ্যে শতভাগ কার্যকর হবে। (সংযোজিত ২০১৯)

উপধারা : ৩- মহানগর/জেলা/ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ গঠন

জাতীয় সম্মেলনের অনুরূপ এক্ষেত্রেও বছরে একবার মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের ক্ষেত্রে প্রতি থানা/উপজেলা/সমমান পরিষদ কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্য হতে জেলা পরিষদ গঠিত হবে। কেন্দ্রের মতো একইভাবে মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনে একটি মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পরিষদ নির্বাচিত করবে যার সদস্য সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ একষট্টি (৬১) জন। মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ-সভাপতি, সহ-সভাপতিবৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী এবং সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন করতে হবে। মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নির্দিষ্ট মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পর সম্মেলন করতে ব্যর্থ হলে বা আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় পরিষদ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেবেন, যার কার্যকাল হবে ৯০ (নব্বই) দিন। আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদকালের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনে ব্যর্থ হলে তা বিলুপ্তরূপে গণ্য হবে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। (সংশোধনী’ ৯৭, ২০১০ ও ২০১৯)

ব্যাখ্যাঃ মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ অন্য সকল বিষয়েও কেন্দ্রীয় পরিষদের পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করবে। সাধারণভাবে ১৫ (পনের) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ সভা ও জরুরীভাবে ৫ (পাঁচ) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে জরুরী সভা আহ্বান করা যাবে।

উপধারা : ৩ (১)- মহানগর/জেলা/বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের দায়িত্বশীলদের

যোগ্যতা:
ক. সভাপতি/সহ-সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদেরকে অবশ্যই সহগামী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
খ. উপজেলা/থানা/সমমান শাখায় কমপক্ষে দুই বছর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
গ. বয়সসীমা অনুর্ধ্ব ৩০ বছর।
ঘ. সদস্যের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ.এস.সি/ সমমান।

উপধারা : ৩ (১) ২০২২ এর মধ্যে শতভাগ কার্যকর হবে। (সংযোজিত ২০১৯)

উপধারা : ৪- থানা/উপজেলা/সমমান পরিষদ গঠন

থানা/উপজেলা/সমমান পরিষদগুলোর আওতাধীন ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে গঠিত হবে। জেলা সম্মেলনের মতো থানা/উপজেলা সমমান সম্মেলন উক্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের মধ্য হতে একটা থানা/উপজেলা সমমান পরিষদ নির্বাচিত করবে। যার সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫১ (একান্ন) জন। থানা/উপজেলা/সমমান পরিষদ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদকম-লী এবং সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। (সংশোধনী’ ৯৭ ও ২০১০)
ব্যাখ্যা : থানা/উপজেলা পরিষদ থানার সর্বোচ্চ পরিষদ হিসেবে বিবেচিত হবে। জেলার মতোই থানার সভা একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে; কিন্তু সাধারণ সভা ১১ (এগার) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে এবং জরুরী সভা ৫ (পাঁচ) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।

উপধারা : ৪ (১)- থানা/উপজেলা/সমমান পরিষদের দায়িত্বশীলদের যোগ্যতা

ক. সভাপতি/সহ-সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে অবশ্যই অনুগামী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
খ. ইউনিয়ন/সমমান শাখায় কমপক্ষে দুই বছর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
গ. নিয়মিত ছাত্র হতে হবে।
ঘ. সদস্যের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি/ সমমান।
ঙ. বয়সসীমা অনুর্ধ্ব ৩০ বছর।
উপধারা : ৪ (১) ২০২২ এর মধ্যে শতভাগ কার্যকর হবে। (সংযোজিত ২০১৯)

উপধারা : ৫- ইউনিয়ন ও ইউনিট পরিষদ গঠন

ইউনিয়ন শাখা আওতাধীন ওয়ার্ড/ইউনিটের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। উপজেলা সম্মেলনের মতো ইউনিয়ন সম্মেলন উক্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য হতে একটা ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হবে। যার সদস্য সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ (৩১)একত্রিশ জন। ইউনিটগুলো নিজ নিজ শাখাধীন অনুগামীদের মধ্য হতে একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করবে। এ পরিষদের সদস্য সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ (২১) একুশ জন। সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদকম-লী এবং সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। (সংশোধনী’ ৮৯, ৯৭, ২০১০ ও ২০১৯)

ব্যাখ্যা : ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পরিষদ বিবেচিত হবে। ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ৭ দিনে সাধারণ সভা এবং ৩ দিনে জরুরী সভা আহ্বান করা যাবে এবং ইউনিটের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ২ ও ১ দিনে করা যাবে।

উপধারা : ৫ (১)- ইউনিয়ন ও ইউনিট পরিষদের দায়িত্বশীলদের যোগ্যতা :

ক. অবশ্যই ছাত্র হতে হবে।
খ. সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও কর্মনীতির আলোকে সমর্থক ফরম পূরণ করে সমর্থক প্রাথমিক স্তরে উত্তীর্ণ হতে হবে।
গ. ইউনিয়নের দায়িত্বশীলদের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড/ইউনিটে কমপক্ষে (১) এক বছর দায়িত্ব পালন করতে হবে। (সংযোজিত-২০১৯)

উপধারা : ৬- মহানগরী, বিশ্ববিদ্যালয় ও আলীয়া মাদ্রাসা

দেশের সকল মহানগরীকে জেলা ও মহানগরের ওয়ার্ড/পৌরসভাকে থানার মর্যাদা দেয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জেলা এবং তার হল/অনুষদ গুলোকে থানার মান দেয়া হবে। আর সরকারী ও বেসরকারী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ভেটেরিনারী কলেজ, পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট, কৃষি ইনষ্টিটিউট এবং আলিয়া মাদরাসাসহ সকল ইনষ্টিটিউটগুলোকে থানা এবং এদের আওতাধীন হলগুলোকে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড শাখার মান দেয়া হবে। (সংশোধনী’ ৯৭ ও ২০০৫,১৯)

ধারা- ১২: প্রতিনিধি নির্বাচন

(ক) জাতীয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’ এর সিদ্ধান্ত অনুসারে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘প্রেসিডিয়াম’ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। উল্লেখ্য যে, নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি কাউন্সিল আয়োজন করবে এবং কাউন্সিলে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ ও পাশ করা হবে। কাউন্সিলের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী মেয়াদের জন্য প্রেসিডিয়াম সভা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা চূড়ান্ত করে মনোনয়ন দেবেন। (সংযোজিত ২০১৯)
(খ) প্রত্যেক সভাপতি সর্বোচ্চ (২) দুই সেশন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। (সংশোধনী ১৫)
(গ) কেন্দ্রীয় পরিষদ কিংবা তার পরিষদের অনুমতি সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লী জাতীয় সম্মেলনের প্রাক্কালে সর্বোচ্চ পঁয়ত্রিশ (৩৫) জন পর্যন্ত বিশেষ প্রতিনিধি মনোনয়ন দিতে পারবেন।

ধারা- ১৩: কাজের সমন্বয়

কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পরিষদগুলোর সাথে অধঃস্তন পরিষদগুলো নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

ধারা- ১৪: জাতীয় সংগঠনের অধিকার ও ক্ষমতা

সহযোগী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার উপর জাতীয় সংগঠনের অধিকার ও ক্ষমতা ধারাটি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের গঠনতন্ত্রের ১৯নং ধারার অনুরূপ সংযোজিত হল :

উপধারা (ক): দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রকৃতি, ক্ষমতা ও দায়িত্ব।

১) দলের সহযোগী সংগঠনগুলো দলের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
২) জাতীয় সংগঠনের কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচি প্রণয়ন করবে।
৩) জাতীয় সংগঠনের কর্মসূচি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। একইভাবে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতীয় সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করে যাবেন।
৪) জাতীয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাসহ সকল স্তরের কমিটির সভায় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন এবং সভায় মতামত, পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
৫) অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটিকে তাদের যাবতীয় কর্মকা-ের জন্য জাতীয় সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকট জবাবদিহি করতে হবে।
৬) জাতীয় সংগঠনের আদর্শ, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, স্বার্থ, শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন স্তরের কোন নেতা কিংবা কমিটি জড়িত হলে জাতীয় সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কমিটি সরাসরি হস্তক্ষেপ, মীমাংসা, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, প্রয়োজনে কমিটি বিলুপ্ত ও ব্যক্তির ক্ষেত্রে বহিস্কার করতে পারবেন। অবশ্য কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত অধস্তন কমিটির ক্ষেত্রে ছাত্রসেনার ঊর্ধ্বতন কমিটির সিদ্ধান্তসাপেক্ষে এসব কাজ সম্পন্ন করা হবে।
৭) অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের কমিটি কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে কোন প্রকার বিরোধ কিংবা মতানৈক্যের উদ্ভব হলে তা তারা নিজেরা মীমাংসা করতে অপারগ হলে সেক্ষেত্রে জাতীয় সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কমিটি এবং অঙ্গ ও সহযোগী কমিটির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমিটির সমন্বিত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। (সংযোজিত ২০১৯)

ধারা- ১৫: গঠনতান্ত্রিক প্রধান

কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি গঠনতান্ত্রিক প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।

ধারা- ১৬: সাংগঠনিক দপ্তরসমূহের ছক

সাংগঠনিক দপ্তরসমূহের ছক
 ছবি – সাংগঠনিক দপ্তরসমূহের ছক

ধারা- ১৭: দপ্তরসমূহের কার্যক্রম

উপধারা : ১- সভাপতি

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ- এ সংগঠনের আদর্শ উদ্দেশ্যকে বাস্তব রূপদান করা এবং এর পূর্ণমর্যাদা রক্ষা করা গঠনতন্ত্র মোতাবেক একে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা তাঁর প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। সভাপতি পরিষদের সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন এবং প্রত্যেক পরিষদের সভাপতি তাঁর এ দায়িত্বাবলী ছাড়াও পরিষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বাবলী পালন করবেন। তাছাড়া তিনি পরিষদের সভা আহ্বান করার জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিবেন এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও নির্দেশ দিবেন। কোন জটিল সমস্যার উদ্ভব হলে জাতীয় সংগঠনের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সাথে পরামর্শক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা তিনি নিজেও আহ্বান করতে পারবেন।

(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ- সভাপতি সংগঠনের প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকের সাথে ঘনিষ্ট সংযোগের মাধ্যমে সম্পাদকগণের সমস্ত কার্যাবলীর উপর দৃষ্টি রাখার ক্ষমতা রাখেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকসহ সকল সম্পাদকের সমস্ত কার্যাবলী তদারকির ক্ষমতা রাখেন। (সংশোধনী’ ৯৪)

উপাধারা : ২- সহ-সভাপতিবৃন্দের দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা

সহ-সভাপতিগণ বিশেষতঃ সিনিয়র সহ-সভাপতি সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির সকল অধিকার ও ক্ষমতা ভোগ করবেন এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী যথাযথভাবে পালন করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সহ-সভাপতিদের মধ্য থেকে একজন সেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং অধিকার ভোগ করবেন। এছাড়া পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বপালনেও বাধ্য থাকবেন। সভাপতির ক্ষমতা ও অধিকারের অংশীদার হবেন। (সংশোধনী’ ৯৪)

উপধারা : ৩- সাধারণ সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ কার্যনির্বাহী ও সম্পাদকম-লীর সভাসমূহ সভাপতির নির্দেশে তিনি আহ্বান করবেন। সম্পাদকম-লীর সভাসমূহে তিনি সভাপতিত্ব করবেন। সাংগঠনিক যাবতীয় আবশ্যকীয় কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব সর্বোচ্চভাবে তাঁর উপর থাকবে। তিনি পরিষদের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সম্পাদকম-লীর কার্যাবলীর তদারক, পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনা ও বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় সাধন করবেন। সাধারণ ও কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সম্পাদকম-লীর সভায় গৃহীত প্রস্তাবলীর এবং ঊর্ধ্বতন পরিষদের নির্দেশের সার্থক ও সঠিক বাস্তবায়ন, বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, বার্ষিক রিপোর্ট ও নিরীক্ষিত হিসাব-নিকাশের দলিলসমূহ সাধারণ পরিষদে অনুমোদন লাভের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট উপস্থাপন ইত্যাদি প্রধান প্রধান কার্যসমূহ তিনি সম্পাদন করবেন। এতদ্ব্যতীত গঠনতন্ত্রে বর্ণিত এবং পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলীও তিনি পালন করবেন। (সংশোধনী’ ৯৪)
(খ) ক্ষমতা ও অধিকার : সাধারণ সম্পাদকই সংগঠনের মুখ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন। জরুরী পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক ব্যাপারে তিনি সভাপতির সাথে পরামর্শ ও তাঁর অনুমোদনক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।

উপধারা : ৪- সহ-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের দায়িত্ব , কর্তব্য, ক্ষমতা ও অধিকার

সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক তাঁর কার্যাবলী পালন করবেন। সহ-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ সাধারণ সম্পাদকের কার্য সম্পাদনে সহায়তা করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-সাধারণ সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের ক্ষমতা ও অধিকারের অংশীদার হবেন। (সংশোধনী’ ৯৪) সাধারণ সম্পাদক সাত দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়া পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলীও তিনি সম্পাদন করবেন।

উপধারা : ৫- সাংগঠনিক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে সুবিস্তৃত করতে এবং সাংগঠনিক কাজ-কর্মে সামঞ্জস্য বিধানে সক্রিয় থাকবেন। দেশব্যাপী সাংগঠনিক অভিযান চালিয়ে যাবেন। আওতাধীন শাখায় সাংগঠনিক কর্মসূচিতে প্রতিনিধি প্রেরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাখা পরিষদসমূহের তত্ত্বাবধান করা, সংগঠনের নতুন কমিটি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা, সংগঠনকে দৃঢ়তর করে তোলা এবং পরিষদ অর্পিত দায়িত্বাবলী পালন করা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ সাংগঠনিক সম্পাদকও একজন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকগণের মধ্যে সমন্বয় করবেন এবং সাংগঠনিক দপ্তরের প্রধান বলে বিবেচিত হবে। জেলা/সমমান সকল শাখার তিনি অনুমোদন দিবেন। আওতাধীন শাখা পরিষদের বিরোধ মীমাংসা ক্ষমতা তাঁর উপর ন্যস্ত থাকবে। শাখাসমূহের পরিদর্শন ও প্রতিনিধি প্রেরণের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। (সংশোধনী’ ৯৪,২০১৯)
(গ) কেন্দ্র হতে ইউনিট পর্যন্ত সকল স্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক স্ব-স্ব শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি/পরামর্শ ব্যতীত একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না। প্রতিনিধি প্রেরণসহ সাংগঠনিক দপ্তরের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। (সংযোজিত ২০১৯)

উপাধারা : ৬ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক/সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব, কর্তব্য, ক্ষমতা ও অধিকার

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সাংগঠনিক সম্পাদকের ন্যায় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকগণ নিজ নিজ বিভাগে সংগঠনকে সুবিস্তৃত করতে এবং সাংগঠনিক কাজ-কর্মে সামঞ্জস্য বিধানে সক্রিয় থাকবেন। বিভাগব্যাপী সাংগঠনিক অভিযান চালিয়ে যাবেন। আওতাধীন শাখায় সাংগঠনিক কর্মসূচীতে প্রতিনিধি প্রেরণ, বিভাগের আওতাধিন শাখা পরিষদসমূহের তত্ত্বাবধান করা, সংগঠনের নতুন কমিটি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা, সংগঠনকে দৃঢ়তর করে তোলা এবং পরিষদ অর্পিত দায়িত্বাবলী পালন করা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুমতি ব্যতীত একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। প্রতিনিধি প্রেরণসহ সাংগঠনিক দপ্তরের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪, ২০১৯)
(গ) জেলা ও থানা/উপজেলা সমমান সকল শাখায় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের স্থলে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হবে। এক্ষেত্রে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের সাথে যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। (সংযোজিত ২০১৯)

উপধারা : ৭- অর্থ সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্য : সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কিংবা কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্থ বিষয়ক সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন ছাড়াও তিনি সংগঠনের অর্থনৈতিক বলিষ্ঠতার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এছাড়া অর্থ আদান-প্রদান, আর্থিক বহি, রেজিষ্টার, ছাপানো রসিদ বহি ও যাবতীয় লেনদেনের দলিলাদি সুসংরক্ষণ, লেনদেনের দৈনিক প্রাপ্তি ও প্রদানের সঠিক হিসাব সংরক্ষণের জন্য দৈনন্দিন নগদদান বহি সংরক্ষণ এবং পরিষদঅর্পিত অন্যান্য কার্যাবলী পালন তাঁর অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। (সংশোধনী’ ৮৭)
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ অর্থ সম্পাদক অর্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে অংশীদার থাকবেন।

উপাধারা : ৭ (১)

কোন অবস্থাতেই কেন্দ্র নির্ধারিত আর্থিক কর্মসূচি ব্যতিত কোন শাখা কিংবা ব্যক্তি সংগঠনের নামে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না এবং কোন প্রকার রশিদ বই বা অর্থকুপন ছাপাতেও পারবে না। তবে কেন্দ্রীয় পরিষদের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে রসিদ বই জেলা শাখা কর্তৃক ছাপানো যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে জেলা শাখাসমূহ কেন্দ্রীয় পরিষদে ছাপানো রসিদ বইয়ের যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবে। (সংশোধনী’ ৮৯, ২০১৯)

উপধারা : ৯- দপ্তর সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সাংগঠনিক সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কনফারেন্স ও ওয়ার্কসপসমূহের পরিচালনা তিনিই করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি সংরক্ষণ করা তাঁর দায়িত্ব। সংগঠনের দপ্তর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ছাড়াও পরিষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বসমূহও তিনি পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে অফিস বিষয়ক পূর্ণ ক্ষমতা তাঁর উপরই ন্যস্ত থাকবে।

উপধারা : ১০- শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ যুগোপযোগী শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ এবং দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষে বিষয়ভিত্তিক বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ কর্মশালা, অনুগামী, সহগামী ও সভ্য পরীক্ষা আয়োজনসহ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সংগঠনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সংস্কারে বিভিন্ন গবেষণাধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলী পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ শিক্ষা-প্রশিক্ষণ গবেষণা সম্পাদক তাঁর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।
(সংযোজিত-১৫,২০১৯)

উপাধারা : ১০ (১)

সকল সমর্থক ফরম, অনুগামী ফরম, সহগামী ফরম ও সভ্য ফরম কেন্দ্রীয় শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও গবেষণা দপ্তর সরবরাহ করবে। কোন অবস্থাতেই তা কোন শাখা কিংবা ব্যক্তি ছাপাতে পারবেনা। (সংশোধনী’ ৮৯, ২০১৯)

উপধারা : ১১- দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্য: বছরব্যাপী তৃণমূলে সংগঠনের নতুন কর্মী সৃষ্টি করতে নিয়মিত দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনাসহ উপযুক্ত ক্ষেত্র বিবেচনায় দাওয়াতী কর্মকৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন এই দপ্তরের মুখ্য দায়িত্ব।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক তাঁর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।(সংযোজিত-১৫, ২০১৯)

উপধারা : ১২- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সংগঠনের যাবতীয় প্রচার কার্য, সংবাদপত্র ও প্রচারপত্র মারফত সংগঠনের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা, গুণাবলী ও আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং ছাত্রসমাজকে আকৃষ্ট ও আস্থাশীল করে তোলার লক্ষে সংগঠনের যাবতীয় প্রকাশনা কার্যক্রম ও প্রকাশ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের আদর্শভিত্তিক বিভিন্ন ভাষায় পুস্তিকাদি অনুবাদ প্রকাশ করা এবং ইসলামী ভাবধারার যুুগোপযোগী গ্রন্থাবলী প্রকাশের ব্যবস্থা করা এবং প্রকাশনা বিষয়ক সমস্ত দায়িত্ব পালন ছাড়াও পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলী তিনি পালন করবেন। (সংশোধনী’৯৭, ২০১৯)
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী নয় এরকম সকল প্রকাশনার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল প্রকার প্রকাশনার পূর্ণ ক্ষমতা তার হস্তে ন্যস্ত থাকবে। (সংশোধনী’ ৮৭)

উপধারা : ১৩- সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে এই দপ্তরের পূর্ণ ক্ষমতা ভোগ করবে। তাছাড়াও পরিষদ অর্পিত অন্যান্য কার্যাবলী পালন তার অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। (সংযোজিত-২০১৯)

উপধারা : ১৪- তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সাম্প্রতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এ সংগঠন ছাড়াও অন্যান্য সংগঠন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, এবং প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রস্তুতপূর্বক পরিষদে পেশ করবেন। বিশেষত সংগঠনের অফিসিয়াল সকল সামাজিক মাধ্যমসহ অনলাইনভিত্তিক প্রচার-প্রসারে এ দপ্তর মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। এছাড়াও পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলী পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তার দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন। (সংশোধনী’ ৯৭, ২০১৫,২০১৯)

উপধারা : ১৫- সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ আমাদের সংগঠনের পাঁচ দফা কর্মসূচির মধ্যে সমাজসেবামূলক কর্মকা- পরিচালনা অন্যতম। প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ বিভিন্ন অবহেলিত জনগোষ্ঠি সাহাযার্থে সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব। এছাড়াও পরিষদ অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকের উপর সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা পূর্ণ ক্ষমতা তাঁর উপরই ন্যস্ত থাকবে। (সংযোজিত-১৫,২০১৯)

উপধারা : ১৬- আইন বিষয়ক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ দেশের প্রচলিত আইনের সাথে সম্পৃক্ত মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সংগঠনের কোন কর্মী সকল সদস্য রাজনৈতিক কারণে মামলা, গ্রেফতার, কারারুদ্ধ, হুলিয়া প্রাপ্ত বা আইনী জটিলতার সম্মুখীন হলে, তাদের আইনগত সহায়তা সমন্বয় সাধন এবং এ সকল মামলার নথিপত্র সংরক্ষণ করা আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব। এছাড়াও পরিষদ অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ আইন বিষয়ক সম্পাদকের উপর আইন সংশ্লিষ্ট সম্পর্কিত পূর্ণ ক্ষমতা তাঁর উপরই ন্যস্ত থাকবে। (সংযোজিত-১৫,২০১৯)

উপধারা : ১৭- মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১ সালের গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সন্তানের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্কস্থাপন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ও গবেষকের সাথে যোগাযোগ, মহান মুক্তিযুদ্ধে সুফিবাদী মুসলমানদের অবদান, বিশেষত পীর মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম এর ভূমিকা গবেষণার মধ্য দিয়ে তুলে এনে ছাত্র সমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিস্তারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এই দপ্তরের প্রধান দায়িত্ব। এছাড়াও পরিষদ অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক হিসেবে এ সম্পর্কিত পূর্ণ ক্ষমতা তার উপরই ন্যস্ত থাকবে। (সংযোজিত-১৫,২০১৯)

উপধারা : ১৮- সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ তিনি ছাত্রসমাজের মধ্যে ইসলামী তথ্য সমন্বয়ে মানবসভ্যতা, শিক্ষায় ও আদর্শে ইসলামের মূলধারা ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত’ এর ভাবধারা প্রতিফলনের ব্যাপারে তৎপর হবেন এবং ইসলামী মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য বাস্তব ও বিজ্ঞানধর্মী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আর আমাদের মাতৃভাষা যেহেতু বাংলা সেহেতু বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্য সেবাও তাঁর দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় চেতনামূলক কাজ কর্মের প্রসার ঘটাতে সচেষ্ট হবেন। বিশেষতঃ ধর্মীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদ্যাপন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কসপ, কনফারেন্স ইত্যাদি আয়োজন করা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা তার অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধর্মসংক্রান্ত বিষয়াদির ব্যাপারে তিনি খোঁজ খবর রাখবেন। এছাড়াও পরিষদ অর্পিত অন্যান্য কর্তব্য সমূহ পালনে তিনি বাধ্য থাকবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ নিজ দপ্তর বিষয়ক কার্যাবলীর ব্যাপারে তিনি পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।

উপধারা : ১৯- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের আকিদার সাথে সম্পর্কযুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের সংস্থা, সংগঠন, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও প্রকাশনা ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের শিক্ষার্থীদের বিবিধ সভা, সেমিনার, কনফারেন্স এবং সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে সংযোগ রক্ষা করা ছাড়াও পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলী সম্পাদন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ ‘আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত’ এর আদর্শের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ব্যাপারে সংগঠনের প্রদত্ত অধিকার ও ক্ষমতা তার হস্তে অর্পিত থাকবে।

উপধারা : ২০- ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্রসমাজের জন্য কল্যাণ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সংগতি ও অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ-খবর নেয়া তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য। এছাড়া পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলীও তিনি পালন করবেন। (সংশোধনী’৯৪)
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক কার্যাবলী সম্পাদনের ব্যাপারে তাঁর পূর্ণ ক্ষমতা ও অধিকার থাকবে।

উপধারা : ২১- স্কুল/হল বিষয়ক সম্পাদক

(ক) দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে/হলে সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করবেন, তাছাড়া পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বাবলীও তিনি পালন করবেন।
(খ) ক্ষমতা ও অধিকারঃ স্কুল/হল বিষয়ক যাবতীয় কর্মকা- সম্পাদনের ব্যাপারে তার পূর্ণ ক্ষমতা ও অধিকার থাকবে। (সংযোজন ২০১০)
(গ) কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনষ্টিটিউট/আলিয়া মাদরাসার ক্ষেত্রে স্কুলের স্থলে হল বিষয়ক হবে। জেলার স্কুল বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদকের অধিনস্থ থাকবে। (সংযোজন ২০১৫ এবং সংশোধনী ২০১৯)

উপধারা : ২২

সকল সম্পাদক সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকবে। (সংযোজিত ২০১৯)

উপধারা : ২৩- সদস্যদের দায়িত্ব , কর্তব্য, ক্ষমতা ও অধিকার

সংশ্লিষ্ট পরিষদের সিদ্ধান্তানুযায়ী বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা, সংগঠনের উন্নতি, প্রচার, প্রসারকল্পে সদা সচেষ্ট থাকা তাদের দায়িত্ব। অর্পিত দায়িত্ব পালনে সংগঠনের প্রদত্ত ক্ষমতা ও অধিকার তারা ভোগ করবেন।

ধারা- ১৮: সভাসমূহ

(ক) কার্যনির্বাহী কমিটির সভা (খ) সম্পাদকম-লী র সভা (গ) সাধারণ সভা (ঘ) জরুরী সভা, (ঙ) তলবী সভা (চ) বর্ধিত সভা এবং (ছ) মতবিনিময় সভা (জ) মুলতবী সভা।
ব্যাখ্যা- (ঙ) সংশ্লিষ্ট পরিষদের এক পঞ্চমাংশ সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিষদের সভা আহ্বানের জন্য লিখিতভাবে সভাপতির নিকট দাবী জানালে সভাপতি অনুরূপ লিখিত দাবী পাওয়ার পর সাত (৭) দিনের মধ্যে সভা আহ্বানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিবেন। (চ) যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কিংবা জাতীয়/জটিল সমস্যা দেখা দিলে তা নিরসনকল্পে সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে বর্ধিত সভা আহ্বান করা চলবে। বর্ধিত সভা আহ্বানের ক্ষেত্রে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা/অনলাইন অফিসিয়াল পেইজের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকেই মূল বিজ্ঞপ্তি হিসেবে ধরা হবে। (সংশোধনী’ ৯৪, ২০১৯)

ধারা- ১৯: কোরাম বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি

যে কোন সভায় সংশ্লিষ্ট পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলেই কোরাম পূর্ণ হবে। তবে জরুরী সভার ক্ষেত্রে এক চতুর্থাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে। অধিকাংশের মতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি হিসেবে ধরা হবে। (সংশোধনী’ ৯৪)

উপধারা : ১

কোরাম পূর্ণ না হবার কারণে সভা মূলতবী হলে পরবর্তী সভার জন্য কোরামের প্রয়োজন হবে না, তবে মূলতবী সভার তারিখে অনুপস্থিতদেরকে অবহিত করতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪)

ধারা- ২০: সাব-কমিটি বা উপ-পরিষদ গঠন

উপধারা : ১

গুরুত্বপূর্ণ কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পরিষদ উপ-পরিষদ বা সাব্ কমিটি গঠন করতে পারবেন।

উপধারা : ২

কার্যাদি সম্পাদনের পরপরই উক্ত পরিষদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

উপধারা : ৩

সংগঠনের কর্মসূচীকে বাস্তবায়িত করতে বা কর্ম তৎপরতাকে বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় পরিষদ উপ-পরিষদ গঠন করতে পারবেন।

উপধারা : ৪

এ উপ-পরিষদ সংশ্লিষ্ট পরিষদের নিকট সম্পূর্ণ দায়ী থাকবেন।

উপধারা : ৫

গঠিত উপ-পরিষদ এবং কার্যকরী পরিষদের মধ্যে বিরোধ পরিলক্ষিত হলে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং এ উপ পরিষদ বিভাগীয় সম্পাদকের আওতায় হলে বিভাগীয় সম্পাদকই উপ-পরিষদ প্রধান মনোনীত হবেন। (সংশোধনী’ ৯৪)

ধারা- ২১: সদস্যপদ বাতিল, পদত্যাগ ও শূন্যপদ পূরণ

উপধারা : ১

ক. কোন সদস্য যুক্তিযুক্ত কারণ দর্শানো ব্যতিরেখে পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা মস্তিষ্ক বিকৃত হলে কিংবা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হলে কিংবা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজে লিপ্ত হলে তার পদ প্রাথমিকভাবে শূন্য বলে ঘোষণা করা হবে। (সংশোধনী’ ৯৭,১৯)

খ. সংগঠনের যে কোন স্তরে কর্মকর্তা বা সদস্য অন্য কোন রাজনৈতিক দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়া কিংবা অন্য কোন সংগঠনের স্বার্থে কাজ করা বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

গ. প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অথবা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরামর্শক্রমে সাংগঠনিক দপ্তরকে যে কোন স্তরের যে কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন। অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে সতর্কীকরণ, সাময়িক পদচ্যুতি, চূড়ান্ত পদচ্যুতি। জেলা পর্যায়ে জেলা কমিটি, উপজেলা/থানা পর্যায়ে উপজেলা/থানা কমিটি, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কমিটি তার কর্মকর্তা বা সদস্যের ব্যাপারে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। তবে কোন জেলা কমিটি বাতিল বা জেলা কমিটির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (সতর্কীকরণ ব্যতীত) গ্রহণ করতে হলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। অনুরূপ ক্ষেত্রে অধঃস্তন পর্যায়ের কমিটিসমূহও তদুর্ধ্ব কমিটির পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করবে।

ঘ. অনলাইনে/অফলাইনে সংগঠনের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতাদের নামে কুৎসা রটনা, বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও চরিত্রহননমূলক লেখনী/বক্তব্য/বিবৃতি বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরণের অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলের ঊর্ধ্বতন পরিষদ তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (সংযোজন’ ২০১৯)

উপধারা : ২

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য বা কর্মকর্তা নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পরিষদ তা গ্রহণ বা নাকচ করতে পারবে।

উপধারা : ৩

ক. সদস্যপদ বাতিল বা পদত্যাগের ফলে সৃষ্ট শূন্যপদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমিটি যে কোন সদস্যকে উক্ত শূন্যপদে ‘কো-অপ্ট’ করে দিবেন।

খ. অনুপস্থিতি জনিত কারণে কেন্দ্রীয় পরিষদ হতে একবার সদস্য পদ শূন্য হলে পরবর্তীতে নতুন পরিষদে স্থান পাবেন না।

গ. কোন স্তরের কোন কর্মকর্তার পদ যদি পদত্যাগ, ক্রমাগত অনুপস্থিতি, বহিষ্কার, মৃত্যু বা অপর কোন কারণে শূন্য হয়, তাহলে সে পদ বিধি মোতাবেক পূরণ করা হবে। অর্থাৎ কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তার পদশূন্য হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য থেকে ঐ পদ পূরণ করা হবে। কিংবা অধঃস্তন কমিটি থেকে তাদের সুপারিশকৃত ব্যক্তি দ্বারা ঐ শূন্য পদ পূরণ করা হবে। তবে অন্তবর্তীকালীন সময়ে তিনি ঐ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। (সংশোধনী ২০১৯)

উপধারা : ৪- আপিল

উপজেলা কমিটি কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জেলা কমিটি, জেলা কমিটি গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট আপীল করা যাবে। তখন ঊর্ধ্বতন কমিটির রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। (সংযোজন ২০১৯)

ধারা- ২২: নির্বাচন

সংগঠনের সর্বপর্যায়ে কমিটি নির্বাচন পদ্ধতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ নির্ধারণ করবেন। সংগঠনের যে কোন সম্মেলনে কোন ব্যক্তির পক্ষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকবে। প্রত্যেক পরিষদের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমিটির মনোনীত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকবেন। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বিবেচিত হবেন। (সংশোধনী’ ৯৪ ও ৯৭,১৯)

উপধারা : ১- সময়কাল

(১) কেন্দ্রীয় পরিষদঃ জানুয়ারি মাস
(২) জেলা/সমমান পরিষদঃ ফেব্রুয়ারি মাস
(৩) উপজেলা/সমমান পরিষদঃ মার্চ মাস (সংযোজন ২০১০)

উপধারা : ২- আওতাধীন শাখার নির্বাচন পদ্ধতি

(ক) সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমিটির মনোনীত ১ জন ব্যক্তি যিনি কমিশনের প্রধান বলে বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্ট পরিষদের সদ্য বিদায়ী সভাপতি, কাউন্সিলের ডেলিগেটদের কণ্ঠভোট কিংবা গোপন ভোটে ২ জন প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট জেলা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে মনোনিত ১ জন প্রতিনিধির সমন্বয় গঠিত নির্বাচন কমিশন এক বছর মেয়াদী জেলা সমমানের কমিটি গঠন করবে। থানা/উপজেলা সমমানের শাখাসহ সকল অধঃস্তন পরিষদগুলো একই নিয়মে নির্বাচন কমিশন গঠন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করবে।

(খ) আয়তনিক জেলা/সমমানের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করবে। যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর ইসলামী ফ্রন্ট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা। (সংযোজিত-২০১৯)

ধারা : ২৩

সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে যে সমস্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে তাতে সকল প্রস্তাব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার অন্ততঃ ছত্রিশ (৩৬) ঘণ্টা পূর্বে সদস্যগণ প্রস্তাবটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নিকট পেশ করবেন। যুক্তিযুক্ত কারণ ব্যতিরেখে এটা যদি নাকচ করা হয় সংশ্লিষ্ট সদস্য প্রয়োজনীয় কৈফিয়ত দাবি করতে পারবেন। সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বার (১২) ঘণ্টা পূর্বে প্রস্তাবাবলী চূড়ান্ত করে নিতে হবে।

ধারা : ২৪- অনাস্থা প্রস্তাব

সংগঠনের যে কোন স্তরে যে কোন কর্মকর্তা অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের উপর অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির ৪০% সদস্য লিখিত দাবী জানাবে এবং উক্ত অনাস্থা প্রস্তাব সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক সমর্থন পেলে গৃহীত বলে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য যে, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির ৫০% সদস্য উপস্থিত থাকতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪)

উপধারা : ১

সংগঠনের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচী বিরোধী কোন কাজ যদি কোন সদস্য করে, অথবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র, কর্মনীতি ইত্যাদির সাথেও যদি কোন অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করে, তবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয়, জেলা, থানা/উপজেলা, ইউনিয়ন ও ইউনিট শাখা তা বিবেচনা করে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। সকল ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করণ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যকরী পরিষদ এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকারী হবে। তবে কোন সদস্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হলে তা সংশ্লিষ্ট কমিটির পরবর্তী প্রতিনিধি সম্মেলনে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪ ও ৯৮)

উপধারা : ২

ঊর্ধ্বতন কমিটির কোন সভ্যকে নিম্নতম কমিটি শাস্তি প্রদান করতে পারবে না। কিন্তু এরূপক্ষেত্রে নিম্নতম কমিটি প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কমিটির নিকট শাস্তির জন্য সুপারিশ করতে পারবে। নিম্নতম কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট কোন সদস্য সম্পর্কে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হলে ঊর্ধ্বতন কমিটি নিম্নতম কমিটিকে নির্দেশমূলক সুপারিশ পাঠাতে পারবে। কিন্তু ঐ সুপারিশ মোতাবেক নিম্নতম কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হলে বা শাস্তি প্রদান না করলে তখনই কোন ঊর্ধ্বতন কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

উপধারা : ৩

যে কোন সদস্য বা কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসম্পর্কিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উর্ধ্বতন কমিটি সমূহের নিকট আপিল করার অধিকারী হবে। আপিলের রায় না হওয়া পর্যন্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্বন্ধে নিম্নতম কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

উপধারা : ৪

কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কোনরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পূর্বে তাকে তার আচরণ ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়ে নোটিশ রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকে বা হাতে হাতে তার কাছে প্রেরণ করতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪)

ধারা- ২৫: গঠনতন্ত্রের সংশোধনী

যে কোন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি গঠনতন্ত্রে সংশোধনী জাতীয় সম্মেলনের অন্ততঃ সাত (৭) দিন পূর্বে কেন্দ্রীয় পরিষদের নিকট পেশ করতে পারবেন। সম্মেলনের ২৫% সদস্যের সম্মতি থাকলে উক্ত সংশোধনী সম্মেলনে আলোচিত হতে পারবে এবং দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে এ প্রস্তাব প্রাথমিকভাবে গৃহীত হতে পারে। তবে জাতীয় সংগঠনের সর্বোচ্চ পরিষদ এ প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের ক্ষমতা সংরক্ষিত থাকবে। (সংশোধনী ২০১৯)

ধারা- ২৬: গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা

এ গঠনতন্ত্রের অন্তর্গত বিধি-বিধান সম্পর্কে কোন মতবিরোধ বা বিতর্ক দেখা দিলে তা কেন্দ্রীয় পরিষদ বিবেচনা করে যে রায় দিবে তাই মেনে নিতে হবে। গঠনতন্ত্র বিশ্লেষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় পরিষদের; কিন্তু এ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় পরিষদের যে কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র জাতীয় সংগঠনের। তবে কেন্দ্রীয় পরিষদের ন্যায় জাতীয় সম্মেলন যে কোন প্রস্তাবনা প্রদানের সুযোগ রাখে। (সংশোধনী’ ২০১৯)

ধারা : ২৭ অর্থ সংরক্ষণ

অর্থ তহবিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’র নামে অর্থ সম্পাদক এবং সাথে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক মোট দু’জনের যৌথ স্বাক্ষরের পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে সঠিক নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয়ী হিসাব বা চলতি হিসাব জমা থাকবে। ইহা সংগঠনের সকল পর্যায়ে প্রযোজ্য হবে। (সংশোধনী’ ৮৯)

ধারা- ২৮: হিসাব নিরীক্ষণ

উপধারা : ১

সংগঠনের বিভিন্ন হিসাব সংক্রান্ত বহি প্রতি আর্থিক বছরের শেষে একবার নিরীক্ষণ করতে হবে এবং কেন্দ্রের হিসাব নিরিক্ষককে একজন পেশাগতভাবে দক্ষ চার্টাড একাউন্টেন্ট হতে হবে। কিংবা জাতীয় সংগঠনের অভিজ্ঞ টিম এ কাজে নিরীক্ষণ করবে। (সংশোধনী ২০১৯)

উপধারা : ২

কেন্দ্রীয় পরিষদের সর্বশেষ সাধারণ সভা নিরীক্ষক নিয়োগ করবেন এবং নিরীক্ষণ শেষে জাতীয় সম্মেলনে অডিট রিপোর্ট পেশ করতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪)

উপধারা : ৩

অন্যান্য কমিটির ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কমিটি মনোনীত নিরীক্ষক দল, সংশ্লিষ্ট অধঃস্তন পরিষদের হিসাব নিরীক্ষণ করবেন। নিরীক্ষকগণ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কার্যকরী পরিষদের সদস্য হবেন। নিরীক্ষণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট শাখার প্রতিনিধি সম্মেলনের এক মাস পূর্বে সম্পন্ন করতে হবে। নিরীক্ষণ রির্পোট সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট অধঃস্তন কমিটি পরবর্তী নবায়নের পূর্বে নিরীক্ষণ (অডিট) বাধ্যতামূলক ভাবে সম্পন্ন করতে হবে। (সংশোধনী’ ৯৪, ২০১৯)

ধারা- ২৯: আয়ের উৎস

উপধারা : ১

নিজস্ব অর্থ তহবিল গঠনের জন্য সংগঠনের নি¤েœাক্ত উৎসগুলো থাকবে।
* ভর্তি ফি, সমর্থক, অনুগামী, সহগামী, সভ্যের মাসিক চাঁদা,
* এককালীন চাঁদা,
* সাহায্য মঞ্জুরী,
* প্রকল্প আয় এবং অন্যান্য প্রাপ্তিসমূহ।

উপধারা : ২- যাকাত ফান্ড

শরীয়তের বৈধ পন্থায় অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে নিম্মোক্তদের সাহায্যের জন্য একটি যাকাত ফা- গৃহীত হবে।
* নিঃস্ব, এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে,
* পঙ্গু ও অন্ধ কল্যাণ,
* দুর্ভিক্ষ-মহামারী ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবতার সাহায্য ও সেবা কল্পে এবং সমাজ উন্নয়নমূলক যে প্রতিষ্ঠানাদি থাকবে। উল্লেখ্য যে, এদের জন্যই যাকাত, সাদকাহ ও ফিতরা গৃহীত হবে এবং ফা- সম্পূর্ণ পৃথক থাকবে এবং শরীয়তসম্মত উপায়ে ব্যয় করতে হবে।

ধারা- ৩০: বহি ও রেজিষ্টারসমূহ

সাধারণ সম্পাদকের নিরাপদ তত্ত্বাবধানে সংগঠনের নিম্ন লিখিত বহি ও ফাইল পত্র রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
* সমর্থকদের রেজিষ্টার
* অনুগামীদের রেজিষ্টার
* সহগামীদের রেজিষ্টার
* সভ্যদের রেজিষ্টার
* সভার কার্য বিবরণী বহি
* পরিদর্শকের বহি
* রশিদ বহি
* নগদান বহি
* খতিয়ান বহি
* আসবাবপত্র এবং যন্ত্রপাতির রেজিষ্টার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য বহি ও রেজিষ্টার।

ধারা- ৩১: অধিকার ও নিয়ম-শৃঙ্খলা

ক) এ সংগঠন শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার তীব্র প্রয়োজনীয়তা বোধ করে; এটা সংগঠনের চতুর্থ মুলনীতিও বটে। ইউনিট থেকে আরম্ভ করে কেন্দ্র পর্যন্ত সকল স্তরেই প্রধানত; নিজ নিজ কমিটির শান্তি শৃঙ্খলা ও নিয়ম নিষ্ঠার নিয়ন্ত্রক হিসেবে গণ্য হবে। প্রত্যেক সদস্যের মতামত প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু মতামত প্রদান করা যাবে শুধু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/সদস্যের সংশ্লিষ্ট ফোরামে অর্থাৎ স্ব-স্ব পর্যায়ের কার্যনির্বাহী কমিটিতে; কিন্তু আলাপ আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে বা সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্তই গৃহিত হবে তার সঙ্গে একমত হোন আর না-ই হোন, প্রত্যেক কর্মকর্তা ও সদস্যকে ওই সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে তা কার্যকর করা হবে।

খ) স্ব-স্ব দলীয় কাঠামো বা ফোরামের বাইরে কোন কর্মকর্তা বা সদস্য দলের কোন নীতি বা সিদ্ধান্ত বা কোন কার্যক্রমের কিংবা কোন নেতা বা সদস্যের কোন প্রকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমালোচনা করতে পারবেন না।

গ) মতামত জানানোর পর সংশ্লিষ্ট কমিটিতে যথাযথ নিয়মে সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলে তিনি তার মতামত তদুর্ধ্ব কমিটির নিকট উত্থাপন করতে পারবেন। তখন কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ঘ) দলের কোন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন অধঃস্তন কমিটি দ্বিমত পোষণ করলে উক্ত কমিটি তা লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে পারবে। কিন্তু সকল অবস্থাতেই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। অনুরূপ, সকল ঊর্ধ্বতন কমিটির নির্দেশ সকল অধঃস্তন কমিটি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। একমত নই বা ঊর্ধ্বতন কমিটির কাছে আপত্তি জানিয়েছি এরূপ অজুহাতে দলের বা ঊর্ধ্বতন কমিটির নির্দেশ অকার্যকর রাখা যাবে না।

ঙ) অধঃস্তন কমিটিসমূহের কাছ থেকে যেসব বক্তব্য, মতামত বা পরামর্শ আসবে ঊর্ধ্বতন কমিটি বা কেন্দ্রীয় কমিটি অবশ্যই তা বিবেচনা করবে এবং উত্থাপিত বিষয়ে বক্তব্য বা মতামত সংশ্লিষ্ট অধঃস্তন কমিটিকে লিখিতভাবে জানাবে।

চ) কোন্দল, অযোগ্যতা, অবাধ্যতা, আদর্শ বিরোধী কর্মকা-, নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে অধঃস্তন যে কোন স্তরের যে কোন কমিটি ভেঙ্গে দিতে পারবে এবং তখন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিবে কিংবা সংশ্লিষ্ট মধ্যবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বানের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিতে পারবে।

ছ) কোন অপ্রত্যাশিত ভুল বুঝাবুঝি বা অনভিপ্রেত বিরোধ মীমাংসার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পরিষদের কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করবেন। অধিকতর জটিল কোন সমস্যার জন্য নিকটতম ঊর্ধ্বতন পরিষদ এবং একান্ত সমাধান অযোগ্য বিষয়গুলোর জন্য লিখিতভাবে জেলা পরিষদের নিকট জানানোর পর জেলা পরিষদই দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়, কেন্দ্রীয় পরিষদের ক্ষেত্রে জাতীয় সংগঠন বিরোধ মীমাংসার দায়িত্ব পালন করবেন। (সংশোধনী’ ৯৪, ৯৮ ও ২০১৯)

উপধারা : ১ (ক)

“বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট” বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার জাতীয় সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে। (সংশোধনী’৯৪)

উপধারা : ১ (খ)

বাংলদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোন সংকট বা সমস্যার উদ্ভব হলে, চরম কোন মতবিরোধ কিংবা আদর্শগত দ্বন্দ্ব দেখা দিলে, যা নিজেদের ফোরামে মীমাংসার বাহিরে চলে গেলে কিংবা সাংগঠনিক চরম কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শূন্যতা বিরাজ করলে তা নিরসনের ক্ষেত্রে পরিষদের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর লিখিতভাবে কিংবা সর্বোচ্চ পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় পরিষদের কাছে লিখিত আবেদন সাপেক্ষে তাদের সহযোগীতা কামনা করা হবে। এক্ষেত্রে তাঁদের দেয়া সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। (সংশোধনী’ ৯৪ ও ৯৮)

ধারা- ৩২: বিবিধ

উপধারা : ১

পরিষদ গঠনের পর থেকে সাংগঠনিক ও আর্থিক বছর শুরু হবে। (সংশোধনী ৮৯, ০৫ ও ২০১০)

উপধারা : ২

প্রতিটি নির্বাচিত পরিষদ এক (১) সাংগঠনিক বছর কাল স্থায়ী হবে।
তবে ২০২২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় পরিষদ ২ বছর কাল স্থায়ী হবে। (সংযোজিত-২০১৯)

উপধারা : ৩

এ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট যেসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হবে তারা “বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনায়” যোগ দিবেন।

উপধারা : ৪

কোন নতুন পরিস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের ভোটে পাশকৃত প্রস্তাবই সিদ্ধান্ত হিসেবে চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে যা গঠনতন্ত্রে বর্ণিত হয়নি।

উপধারা : ৫

সমর্থক, অনুগামী, সহগামী ও সভ্য এ চার স্তরের কর্মীগণকে সাধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য করা হবে।


শপথ নামা

আমি ……………………. আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাজির-নাজির জেনে সপ্ত ঈমানের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখে প্রতিজ্ঞা করছি যে, মহান রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত ও তাঁর প্রিয় হাবিব বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত পথে ও মতে, কথায় ও কার্যে আমার স্বীয় জীবনকে পরিচালিত করব। ইসলামের মূলধারা “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের” মতাদর্শ বাস্তাবায়নে সবোর্চ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকব। এ মানসে গঠিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার যাবতীয় কর্মসূচী কর্মক্ষেত্রে বাস্তবায়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। সংগঠনের গঠনতন্ত্র, কর্মনীতি যথাযথভাবে মেনে চলব।

দেশে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি অত্র সংগঠনের ……….. পরিষদের ………… গুরু দায়িত্বভার সাদরে গ্রহণ করছি এবং আমার উপর অর্পিত এ ঈমানী দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
হে মহান রাব্বুল আলামীন আমাকে উপরোক্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের তৌফিক দিন। আমিন। বেহুরমাতি রাহমাতুল্লীল আলামীন।


আমরা বিশেষত যেসব দিবস উদযাপন করব

ধর্মীয় দিবস

১ মহররমঃ হিজরী নববর্ষ।
১০ মহররমঃ পবিত্র আশুরা।
২৫ সফরঃ আ’লা হজরত আহমদ রেজা খান (রহঃ) এর ওফাত দিবস।
১২ রবিউল আউয়ালঃ পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
১১ রবিউস সানীঃ ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।
২২ জমাদিউস্সানীঃ হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) এর ওফাত দিবস।
৬ রজবঃ ফাতেহা-এ খাজা গরীবে নেওয়াজ (রাঃ)।
১২ রজবঃ আল্লামা গাজী শেরে বাংলা (রহঃ) এর ওফাত দিবস।
২৭ রজবঃ মে’রাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’লা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
২ শাবানঃ ঈমাম আজম আবু হানিফা (রাঃ) এর ওফাত দিবস।
১৫ শাবানঃ শবে বরাত।
৩০ শাবানঃ মাহে রমজানের আগমন।
১৭ রমজানঃ বদর দিবস।
২১ রমজানঃ হযরত আলী (রাঃ) এর শাহাদাত দিবস।
২৭ রমজানঃ শবে কদর।
৯ জ্বিলহজ্বঃ হজ্ব দিবস।
১৮ জ্বিলহজ্বঃ হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাহাদাত দিবস।
২৬ জ্বিলহজ্বঃ হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর শাহাদাত দিবস।

শাহাদাত দিবস

১০ এপ্রিলঃ শহীদ লিয়াকত দিবস।
১০ জুলাইঃ শহীদ হালিম দিবস।

*কেন্দ্রীয় পরিষদ স্বীকৃত শহীদদের শাহাদাত দিবসসমূহ।

জাতীয় দিবস

২১ ফেব্রুয়ারীঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
২৬ মার্চঃ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
১৬ ডিসেম্বরঃ বিজয় দিবস।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীঃ ২১ জানুয়ারী


তারানায়ে ছাত্রসেনা

ছাত্রসেনা জিন্দাবাদ, ছাত্রসেনা জিন্দাবাদ
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ
নবীজির শানের পতাকাবাহী
নিবেদিত প্রাণ এই বীর সিপাহী
নবীপ্রেম সিন্দুতে অবগাহী (২)
মিটাই মনের সাধ ॥ ঐ

রাসুল এবং তাঁর সাহাবীগণ
করেছেন যে পথে সঠিক গমন
আমরা যে তাই করি অনুসরণ
চাই না আর মতবাদ॥ ঐ

নতুন যুগের মোরা নব সেনানী
শুনাই সুপ্ত কানে হকের বাণী
ঈমানের মরা গাঙে জোয়ার আনি (২)
দানি জীবনের স্বাদ ॥ ঐ

যুগের ফারুক মোরা মোরা হায়দার
মোরা যে খালিদ-মুসা, তারিক-আজগর
রচিব বাতিলের জিন্দা কবর (২)
আমরণ করবো জিহাদ ॥ ঐ

রাসুলের সৈনিক আমরা সবাই
গাউসে পাকের মোরা গুণগান গাই
শরীয়ত-মারফত দু’টাই চাই (২)
করতে ঈমান আবাদ ॥ ঐ

দুনিয়াতে আমাদের চাওয়া পাওয়ার
কেবল মুহাব্বত হাবিবে খোদার (দঃ)
তাঁহার গোলাম মোরা আশিক তাঁহার (২)
কণ্ঠে আল্লাহ্ আহাদ ॥ ঐ

নির্ভীক মুজাহিদ এই কাফেলা
মুখে-মুখে গাই সদা সল্লে­আলা
হরদম দুর্দম এদের চলা (২)
কাঁধে মিলায়ে কাঁধ ॥ ঐ

বিকৃত করেছে হাদিস-কোরআন
করেছে কলংকিত রাসুলের শান
বাঁচাও-বাঁচাও নিজ আকিদা ঈমান (২)
শুধু এই ফরিয়াদ ॥ ঐ

শানে রিসালাত আর বেলায়াত
নবী প্রেমিকদের আবে হায়াত
হরদম হানে যারা সেথায় আঘাত
ভাঙব সেই বুনিয়াদ ॥ ঐ

দিতে পারে নিজ খুন প্রেমে নবীর
পৃথিবীতে তার সম নাই কোন বীর
সেইজন ধন্য উচ্চ সে শির (২)
যাছি শহীদি স্বাদ ॥ ঐ

দেখ আ’লা হযরত জেগেছে আবার
ঐ শেরে বাংলা ছাড়ে হুংকার
হাঁকে হায়দারী হাঁক হাজার-হাজার
আল্লাহর অলী আওতাদ ॥ ঐ

চেয়ে আছি পথ পানে হাদি-মাহদীর
আসিবে বার্তা নিয়ে চির-শান্তির
মুছে দেবে হাহাকার এই ধরণীর (২)
যতই আর্তনাদ ॥ ঐ


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা

অনুগামী সিলেবাস

০১। সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, মাসিক ছাত্রবার্তা।
০২। গঠনতন্ত্র-বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
০৩। রাজনীতির ২৫০ বছর
এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।
০৪। আমাদের সংগ্রাম কোন পথে-বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
০৫। কর্মনীতি-বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
০৬। কোরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামের মুলধারা ও বাতিল ফিরকা-
শাইখুল হাদিস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী।
০৭। দাপ্তরিক ফাইল রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্যাদী নির্বাহ পদ্ধতি-
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
০৮। সুন্নিয়তের পথে- সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আযম।
০৯। আমাদের প্রিয় নবী- অনুবাদক : মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
১০। কর্মীরা কেন নিষ্ক্রিয় হয়?-সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আযম।
১১। মাতা-পিতার হক-কোরআন, হাদিসের আলোকে সংকলিত (অনুগামী এ্যাপ্স)
১২। শহীদ হালিম-লিয়াকত এর জীবনী-বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা (অনুগামী এ্যাপ্স)
১৩। সূরা ফীল হতে সূরা ফাতেহা পর্যন্ত বিশুদ্ধ তিলাওয়াত ও
অর্থসহ মুখস্ত করণ- কানযুল ঈমান- আল্লামা এম.এ.মান্নান।

সহগামী সিলেবাস

০১। আমপারা-অনুবাদ ও তাফসীর।
নুরুল ইরফান- আল্লামা এম.এ.মান্নান।
০২। নূরনবী (দ.)
আল্লামা অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ.জলিল।
০৩। প্রশ্নোত্তরে আকায়েদ ও মাসায়েল
আল্লামা অধ্যক্ষ হাফেজ এম এ জলিল।
০৪। মাদারেজুন্নবুয়ত (১ম ও ২য় খ-)- সেরহিন্দ প্রকাশনী।
০৫। কর্মনীতি- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
০৬। সুন্নী জাগরণের সূচনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা-এম.এ.মতিন।
০৭। নির্বাচন ও আপনার জবাবদিহিতা- মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।
০৮। সংবিধান এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা- কাউছার আহমদ রুবেল।
০৯। ৪০ হাদিস সংকলন- সংকলন ও অনুবাদ : আব্দুল মোস্তফা রাহিম; সম্পাদনায় : মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।